Lakshmir Bhandar Scheme: লক্ষ্মীর ভান্ডারের ভাতা 2000 টাকা পাবেন? সুখবর দিলো তৃণমূল কংগ্রেস

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmir Bhandar Scheme) পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে নিয়ে আসা সকল প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম। আর এই স্কিম (Government Scheme for Woman) মহিলাদের জীবনে অনেক বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। আর এই সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে এই প্রকল্পে এখন প্রায় ২ কোটির বেশি মহিলারা উপকৃত হচ্ছেন, এবারে তাদের জন্য এক বড় খবর জানতে পাওয়া গেল (Government of West Bengal).

Lakshmir Bhandar Scheme 2024

পশ্চিমবঙ্গের মহিলাদের জন্য বড় সুখবর। লক্ষীর ভান্ডারের ভাতা বাড়তে পারে এই নিয়ে জল্পনা চলছিল আগে থেকেই। তবে এবার সে বিষয়ে ইঙ্গিত মিলেছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১০০০ এবং ১২০০ টাকা ভাতা (Lakshmir Bhandar Scheme Allowance) পেয়ে থাকেন রাজ্যের মা বোনেরা।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প

তবে এবার শোনা যাচ্ছে সেই ভাতার পরিমাণ নাকি বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। যদি সত্যি তা হয় তবে এতে আনন্দের শেষ থাকবে না রাজ্যের মহিলাদের। ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ (Lakshmir Bhandar Scheme) প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ২০২১ এ বিধানসভা নির্বাচনের পর চালু করা হয়। যার মূল উদ্দেশ্য হলো রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক সুরক্ষা ও সামাজিক অবস্থানের উন্নতি করা।

লক্ষ্মী ভাণ্ডার স্কিম

প্রথমে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের (Lakshmir Bhandar Scheme) আওতায় সংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা মাসিক ১০০০ টাকা এবং অসংরক্ষিত শ্রেণীর মহিলারা ৫০০ টাকা ভাতা পেতেন। এরপরে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যথাক্রমে ১০০০ টাকা এবং ১২০০ টাকায় দাঁড়ায়। যাতে আরো বেশি করে উপকৃত হতে শুরু করেন মহিলারা।

স্বাভাবিকভাবেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে অভাবনীয় সাফল্য পায় তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) যার পেছনে অনেকেই লক্ষীর ভান্ডারের অবদান রয়েছে বলে মনে করছেন। এই কারণে এরপর জল্পনা শুরু হয় যে মুখ্যমন্ত্রী খুশি হয়ে হয়তো আরো বাড়াবেন এই প্রকল্পের ভাতা। যদিও এতদিন সরকারের তরফ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়নি এই নিয়ে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের এক তৃণমূল নেতা বিজন বন্ধু বাগ ২০২৬-র বিধানসভা নির্বাচনের বিষয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই ভাতার (Lakshmir Bhandar Scheme Allowance) পরিমাণ ২০০০ টাকায় উন্নীত করা হতে পারে। এই নিয়েই রাজ্য জুড়ে আলোচনার ঝড় উঠছে এরপর থেকে।

যদিও তিনি সরকারিভাবে এমন পদক্ষেপ ঘোষণা করার দায়িত্বে নেই, তবে এই ঘোষণার রাজনৈতিক প্রভাব বিশাল। একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনে করছেন, এটি নির্বাচনের প্রাক্কালে তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ককে আরও শক্তিশালী করতে এবং জনপ্রিয়তা বাড়াতে একটি সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ হতে পারে! কিন্তু এখন এই নিয়ে কোন ধরণের সঠিক তথ্য দেওয়া হয়নি, এবারে দেখা যাক আগে কি হয়।

Leave a Comment